Posts

Showing posts from April, 2022

বিয়ের পর প্রথম রমজানটা

বিয়ের পর প্রথম রমজানটা আমার জন্য বিভীষিকায়ময় ছিলো শুধুমাত্র আমার শাশুড়ী নামক মানুষটার জন্য,আমি অবশ্য তাকে মাফ করে দিয়েছি,মৃত ব্যাক্তির উপর রাগ ক্ষোভ পুষে রাখার কোনো কারন নেই। শুরুটা হয়েছিলো সপ্তম রমজানে,আমার বড় জায়ের বাড়ি থেকে মহা আয়োজনে ইফতার এসেছিলো,আমার জা ছিলেন ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে,তার বাড়ি থেকে এমন ঢাক-ঢোল পেটানোর মতো ইফতার আসাটা স্বাভাবিক হলেও আমার বাড়ি থেকে ছিটাফোটা আসার ও কোনো উপায় ছিলো না। আসলে আমি অতি দরিদ্র পরিবারের জন্মেছিলাম। আমার বাবা পেশায় ছিলেন কেরানী, একজন কেরানীর পক্ষে, সংসার চালানোই যেখানে কষ্ট সেখানে ইফতারি পাঠানো তো বিলাসিতা, গরিব হওয়া সত্বেও আমার ভালো ঘরে বিয়ে হয়েছিলো, কেননা আমি দেখতে সুন্দরী এবং শিক্ষিত ছিলাম। কিন্তু সামাজিক রীতিনীতির বেড়াজালে আমার শিক্ষাদিক্ষা আর সৌন্দর্য চাপা পড়ে গেলো। আমার বড় জা আমাকে খুব হেয়ো করে কথা বলতো, সবসময় কাজের লোকের মতো ব্যবহার করতো, আর আমার শাশুড়ী ও তাকে সাপোর্ট করতো,আমার স্বামী ছিলো চাপা স্বভাবের সব বুঝেও সে চুপ করে থাকতো, আমাকে শান্তনা দিতো। জা এর বাড়ি থেকে যেদিন ইফতার পাঠানো হলো সেদিন আমার প্লেট বাদে সবার প্লেটেই উনার বা

"যৌবনাশ্রম খুঁজে দেখো!" -বাড়ীটাতো আমারই, পেনশনও পাই ভাল।

"যৌবনাশ্রম খুঁজে দেখো!" আব্দুর রহমান সাহেব ক'মাস ধরেই কিছু আঁচ করছিলেন। উনি তিন বছর হয় রিটায়ার করেছেন। সরকারী উচ্চপদে ছিলেন। ভাল অঙ্কের পেনশন পান। স্ত্রী গত হয়েছেন বহুদিন আগে। দুটি ছেলেকে বড় যত্নে মানুষ করেছেন। বাবা এবং মায়ের দুজনের স্নেহ দিয়ে ভালভাবে লেখাপড়া করে তারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তারপর বড় ছেলের বিয়ে দিলেন। একটি নাতি হল। উনার মনে আর আনন্দ ধরে না । এরপর ছোট ছেলে নিজের পছন্দের মেয়ে খুঁজে বাবাকে জানালে তিনি সানন্দে সেই মেয়েকে ঘরে নিয়ে এলেন। রিটায়ারের আগেই বড় ছেলের বিয়ে হয়েছিল। তারপর ছোট বৌমা এল। আব্দুর রহমান সাহেব এখন নাতিকে নিয়ে বেশ সময় কাটান। সংসারের অনেকটা ব্যয় ভার বহন করেন। একদিন ইজি চেয়ারে বসে সকালে কাগজ পড়ছেন বড় বৌমার গলা পেলেন, আজ বাজার শর্ট আছে.রাতে রান্না হবে না। সে চাকরী করে। বলছে জা কে। এ বাড়িতে ছেলেদের জন্মের আগে থেকে কাজের মেয়ে জয়নব আছে। সে তাঁর ছেলেদের থেকে বেশ কিছুটা বড়। জয়নব মাতৃহারা দুই ছেলেকে অপার স্নেহে আগলে রেখেছিল। সে বলল--ভাইজানরা কেউ এনে দেবে। বড় বৌ বলল--কেন বাবা তো বসে আছেন বাজারটা রোজ করলেই পারেন। আব্দুর রহমান সাহেবের কানে কথাটা বাজল। বুঝল

সম্পুর্ন বিনামূল্যে বৃত্তিসহ (১৩৫০০ টাকা) ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স কোর্সে প্রশিক্ষনের সুযোগ নিন

"সম্পুর্ন বিনামূল্যে বৃত্তিসহ (১৩৫০০ টাকা) ইলেকট্রিক্যাল ইন্সটলেশন এন্ড মেইনটেন্যান্স কোর্সে প্রশিক্ষনের সুযোগ নিন" প্রশিক্ষনের বিষয় সমূহঃ * ইলেকট্রিক্যাল ড্রয়িং * ইলেকট্রিক্যাল মেজারিং ইন্সট্র্রুমেন্টের ব্যবহার * হাউজ ওয়্যারিং * ইন্ডাষ্ট্রিয়াল মোটর কন্ট্রোল এবং মেরামত * মোটর রি-ওয়্যাইন্ডিং এবং মেরামত * সোলার সিষ্টেম স্থাপন এবং মেরামত * জেনারেটর এ টি এস (ATS) সংযোগ এবং মেরামত * সেন্সর বেইজড লাইট এবং ফ্যান কন্ট্রোল * পানির ট্যাংকে স্বয়ংক্রিয় পানি উত্তোলন * বেসিক ইলেকট্রনিক্স প্রশিক্ষন গ্রহনে আগ্রহী ব্যক্তিগন বিস্তারিত তথ্যের জন্যJ লিফলেটে দেওয়া মোবাইলে নম্বরে (01818349445, 01626-481765) যোগাযোগের অনুরোধ করছি। BEIOA-Light Engineering Training Institute ওয়ারি ঢাকা সেন্টারে ভর্তির জন্য নিচে দেওয়া লিংকের মাধ্যমে অনলাইন আবেদন করা যাবে। https://forms.gle/QBzsjSuMJq8U6biL9

ব্লাইন্ড জোন-সাবধানে থাকুন

"ব্লাইন্ড জোন - মৃত্যুর হাতছানি " সড়ক পথে সাইকেল কিংবা মটর সাইকেল যারা রাইড করি তাদের অবশ্যই উচিত "ব্লাইন্ড জোন" সম্পর্কে ধারনা নিয়ে রাস্তায় রাইড করা প্রয়োজন। গতকাল একটি মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত হন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এর একজন শিক্ষার্থী। নিহত শিক্ষার্থীর আত্নার মাগফিরাত কামনা করছি। গতকালের সড়ক দূর্ঘটনা দেখে একটি জিনিস খুব ভালো ভাবেই উপলব্ধি হচ্ছে ঢাকায় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বাইক/ সাইকেলে এক্সিডেন্ট হয় " ব্লাইন্ড জোন " এ থাকা বাহন গুলো। ব্লাইন্ড জোন কি বা কোনটা? পরিষ্কার বাংলায় যা বুঝি আমি ব্লাইন্ড জোন সম্পর্কে সেটি হলো , " চালকের আসনে বসার পর যে অংশটি লুকিং গ্লাস এ দেখা যায়না এবং যে অংশগুলো চালকের আসন থেকে সরাসরি চোখে দেখা যায় না সেটাকেই "ব্লাইন্ড জোন" বলে। সংযুক্ত ১ম ছবিটা ভালো করে লক্ষ্য করুন, দেখবেন চলন্ত অবস্থায় একটি ট্রাকের বাম কোনে (ব্লাইন্ড জোনের রিস্কি জোন) রয়েছে স্কুটি (সাদা) চালক। চালকের আসন থেকে ট্রাকের সামনের অংশের মূল বডিটি প্রায় এক/দেড় ফিট হয় বা আরো বেশি হয়, আর সেই সামনের অংশ যদি চালকের বাম দিকে (যেখানে চালকের