বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে !!!
ঐতিহাসিক
পোষ্টটা খুঁজেই পেলাম না। ফেবুতে খোঁজার সব উপায় দিয়েও পেলাম না। যেখানে
“দার্শনিক মাহবুব” হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছিলাম।
যাহোক অনেক পেচাইছি, এইবার বলি। ওখানে (সম্ভবত ২০১০ সালে পোষ্ট করেছিলাম) বলেছিলাম বাংলাদেশের জনসংখ্যা বোঝা নয় খুব শীঘ্রই এই জনসংখ্যা সম্পদে পরিণত হবে। এখন ১৬ তে এসে তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। জনসংখ্যা এখন সম্পদ!আর সেটা ভারত, ব্রাজিল, নাইজেরিয়া, কেনিয়া থেকেও বেশি মূল্যবান এখন। বাংলার প্রতিটা মানব জীবনের মুল্য এখন ২,৫০০ টাকা মুল্যের ছাগলের সমতুল্য নয়, এখন তার মুল্য কমপক্ষে ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা। একটা মানুষ জীবনের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অনায়াসে (বাংলাদেশের Life expectancy: 71.23 ,2016 (Est.)), সূত্রঃ http://www.geoba.se/) সত্তর বছরে ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে বা করাতে সক্ষম।
কিন্তু এই জনসংখ্যা কিছু দিন আগেও চরম মাথা ব্যাথার কারণ ছিল। তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনুপাতে উপার্জন করার সক্ষমতা তৈরি হয়নি। আজ হয়েছে।
যাহোক, বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে(!!!)। আমার হিসেব মতে মৃত্যুর হারও কমেছে বা কমছে(যেটা এক রকম বড় সাফল্যেরই অংশ) সাথে সাথে জন্মহারও কমতে শুরু করেছে প্রায় ৫০ শতাংশ হারে(প্রায় অনেক ঘরেই আগে ৫-৮ জনের জুনিয়র টিম দেখা যেত। কিন্তু,এখন ২ সদস্যের জুনিয়র টিমই দেখা যায় কম)।
নিচের ১ ও ২ নং ছবিতে দেয়া তথ্যগুলো যথাক্রমে www.tradingeconomics.com/bangladesh/population এবং http://www.worldometers.info/world-p…/bangladesh-population/ লিঙ্ক থেকে নেয়া। এখানে দুটোতেই শুধু বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ার তথ্য। তবে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আগামী আদম শুমারিতেই এই ধারা থমকে যাবে। আমার চারপাশ, বর্তমান অবস্থা আর তথ্য বলছে আমরা ২ নং ছবির জাপানের মত লালরূপ নিম্নগতির ধারক হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। বড় জোর ২০২৫ কি ২০২৬ সালেই এই চিত্র নিচের দিকে নামতে শুরু করবে। যেটা ভালো লক্ষণই বটে। Yearly % Change এর হিসেবে এবছর জনসংখ্যা গত বছর থেকে ০.০২ কমেছে । আর বিয়োগের ঘরে (-) যেতে অপেক্ষা মাত্র ৭-১০ বছর। এটা দেশের বিদ্যমান এনজিওগুলো আর সরকারের বড় অবদান বলা চলে। কিন্তু আমি বলবো এটা আমাদের পারিবারিক সুসম্পর্কের বিসর্জন।
ফেসবুকের সব দিয়েই আমার তথ্য সাজানো তাই আবারও ফেসবুকের দ্বারস্থ হচ্ছি। ফেসবুকে বাংলাদেশের কতোগুলো পেইজ আছে ? কতোগুলো ব্যাবসায়, বানিজ্য, খামার, কৃষি, ক্রয় বিক্রয়, উদ্যোক্তা হওয়া নিয়ে পেইজ আর গ্রুপ আছে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই দেখতে পারবেন। লোকে এখন বসে নেই, সৎ উপায়ে উপার্জনের পন্থার পিছনে ছুটে বেরাচ্ছে, সফলও হচ্ছে। না হবার তো উপায় নাই। ১৬ কোটি জীবন- তার খাবার, চিকিৎস্যা, ঘুরাফেরা, বিনোদন, কাপড় এসব চাইবেই আর তা পাবেই। এই চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যেই মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুত গতিতে, চায়না গতিতে।
তাই, জনসংখ্যা এখন সম্পদ।
কেউ দ্বিমত করলে সেটা গোঁড়ামি ছাড়া আর কিছুই না। আর এর পেছনে অবশ্যই অবদান বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। তারা প্রযুক্তি আর যোগাযোগের উন্নয়নে যা করে যাচ্ছে তা সীমাহীন প্রশংসার দাবীদার। কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতি। ১.গুগলের কল্যাণে যতগুলো দেশ দেখতে পেরেছি প্রতিটা উন্নত দেশই যোগাযোগে উন্নত। পথ-ঘাটের উন্নয়ন নেই মানে গুগলের স্ট্রিট ভিউ নেই মানে উন্নতিও নেই, আমিও দেখতে পারিনি। সাউথ আফ্রিকা, আমেরিকা রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, ওয়েলস, ব্রাজিল, ইতালি, স্কটল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এগুলোর প্রতিটিই যে উন্নতির চরম শিখরে তা সবাই অবগত। কিন্তু এদেশগুলোর গ্রামের অভ্যন্তরে আর গহিন জঙ্গলেও যে রাস্তা করা আছে তা আমরা এখনও পাইনি আমাদের দেশের কোন একটি রাস্তাতে। তার পরেও এই সরকারের চেষ্টা নিশ্চয়ই আমাদের যোগাযোগ সংক্রান্ত সমস্যা চিরতরে মিটে যাবে। খুব শীঘ্রই ঢাকার কিছু এলাকা সিঙ্গাপুরের রূপ লাভ করতে যাচ্ছে। আর গোটা ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের রূপে আবির্ভুত হতে সময় লাগবে ৩ বছরের মত। একটি পাতাও পড়ে থাকবেনা অবহেলায়(!), আর নোংরা কাগজ বা নংরা পরিবেশ সেটা শুধু স্বপ্নেই দেখা যাবে। ২.আইসিটি বা কম্পিউটার শিক্ষা নার্সারি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করাতে সরকারের অবদন অপরিসীম। এরই চমৎকার ফল উপভোগ করে চলেছি আমরা। এগিয়ে যাচ্ছে দেশ ব্যাপক গতিতে। তবে গোটা শিক্ষা ব্যাবস্থাটা যদি এমনিভাবে আবালদের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা হত আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হত- এক্কেবারে ফকফকা, ফিলিপস বাতির মত।
সরকারের এই শক্ত নজর যদি নিরব বিপ্লবের আঁধার "কৃষিতে" থাকতো তাহলে কৃষি এগিয়ে যেত আরও কয়েক গুণ। নজর নেই বলছিনা। গাছ লাগানো ভালো কাজ;কিন্তু পরিচর্যা করে বেশি ফল পাওয়া আর এমনিতেই ফল পেয়ে যাওয়া এক নয়। সরকার হাতের মুঠি খুলেই রেখেছে বলে কৃষি তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, সরকার যদি প্রসারিত হাতটা কৃষির দিকে এগিয়ে দেয় তাহলে বিশ্বের আরও অনেক অনেক দেশ আমাদের সবজি, পুষ্টি ও আমিষের উপর নির্ভরশীল হবে সেটাই বলছি। তবে কৃষি বিপ্লব হবেই, সেটা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। তার প্রমাণ- বিটিভির "মাটি ও মানুষ" নামের কৃষি অনুষ্ঠানের মত প্রতিটি চ্যানেলেই এখন কৃষি অনুষ্ঠান হচ্ছে। তথ্যে ঠাসা অনুষ্ঠান। নতুন নতুন ফল, ফসল, সবজি, গবাদি পশুতে স্বয়ম্বরা হওয়া ইত্যাদি।
তো এখন কথা হল আমরা জাপানের মত জনসংখ্যায় বিয়োগের কাতারে কেন যাচ্ছি বা যাবো। আগে এক পাড়া থেকে আরেক পাড়াতে হেঁটে গেলে প্রতি কদমেই ২-৪ টা বাচ্চার কাঁদুনি কানে আসতে। পথে মাঠে ছেলে মেয়েরা খেলা ধুলায় মেতে থাকতো। এখন পুরা গ্রাম ঘুরলেও এই দৃশ্য সহজ প্রাপ্য নয়। ১৯৭১ এর পারিবারিক সম্প্রীতিই আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিল একটা আস্ত দেশের স্বাধীন পতাকা। আর সেই ভিতের উপরে দাঁড়িয়েই জনসংখ্যা নামক বোঝা আজ সম্পদে রূপান্তরিত হয়ে আমরা উন্নতির শিখরে উঠতে যাচ্ছি।
এখন বাবা-মায়েদের বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে ভাবার সময় কই। এই ভাবনার অভাবেইতো সন্তানেরা উচ্ছন্নে যাচ্ছে হর হামেশা। জঙ্গিবাদ আর মাদকের থাবা নিঃশেষ করে দিচ্ছে সন্তানকে। এই জনসংখ্যার নিম্নহার আর উন্নতির উচ্চ হার এই ধারণা যে ভুল তার বড় প্রমাণ এই দেশের ১৬ কোটি মানুষ এখন সম্পদ। তবে সংশয়ে আছি সেই ২০২৫-২০৩০ তে এসে কি দাঁড়াবে আমাদের ভবিষ্যৎ। অনেক সম্পদ আর সুখের সন্ধানে সত্যিই কি হারিয়ে যাবে পারিবারিক সম্প্রীতি আর সুখের সত্য অস্তিত্ব !
যদিও ভাবতে চাচ্ছিনা তবুও ভাবতেই হচ্ছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিনে দিনে কমছে, মানে আমরা উন্নতির চরম শিখরে উঠতে উঠতেই আবার আমরা আমাদের সম্পদ হারিয়ে বা হ্রাস করে ফেলছি।
যাহোক অনেক পেচাইছি, এইবার বলি। ওখানে (সম্ভবত ২০১০ সালে পোষ্ট করেছিলাম) বলেছিলাম বাংলাদেশের জনসংখ্যা বোঝা নয় খুব শীঘ্রই এই জনসংখ্যা সম্পদে পরিণত হবে। এখন ১৬ তে এসে তা আমরা দেখতেই পাচ্ছি। জনসংখ্যা এখন সম্পদ!আর সেটা ভারত, ব্রাজিল, নাইজেরিয়া, কেনিয়া থেকেও বেশি মূল্যবান এখন। বাংলার প্রতিটা মানব জীবনের মুল্য এখন ২,৫০০ টাকা মুল্যের ছাগলের সমতুল্য নয়, এখন তার মুল্য কমপক্ষে ৪০-৪৫ লক্ষ টাকা। একটা মানুষ জীবনের শুরু থেকে মৃত্যু পর্যন্ত অনায়াসে (বাংলাদেশের Life expectancy: 71.23 ,2016 (Est.)), সূত্রঃ http://www.geoba.se/) সত্তর বছরে ৩৫-৪০ লক্ষ টাকা উপার্জন করতে বা করাতে সক্ষম।
কিন্তু এই জনসংখ্যা কিছু দিন আগেও চরম মাথা ব্যাথার কারণ ছিল। তখন জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনুপাতে উপার্জন করার সক্ষমতা তৈরি হয়নি। আজ হয়েছে।
যাহোক, বাংলাদেশের জনসংখ্যা কমতে শুরু করেছে(!!!)। আমার হিসেব মতে মৃত্যুর হারও কমেছে বা কমছে(যেটা এক রকম বড় সাফল্যেরই অংশ) সাথে সাথে জন্মহারও কমতে শুরু করেছে প্রায় ৫০ শতাংশ হারে(প্রায় অনেক ঘরেই আগে ৫-৮ জনের জুনিয়র টিম দেখা যেত। কিন্তু,এখন ২ সদস্যের জুনিয়র টিমই দেখা যায় কম)।
নিচের ১ ও ২ নং ছবিতে দেয়া তথ্যগুলো যথাক্রমে www.tradingeconomics.com/bangladesh/population এবং http://www.worldometers.info/world-p…/bangladesh-population/ লিঙ্ক থেকে নেয়া। এখানে দুটোতেই শুধু বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাড়ার তথ্য। তবে আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি আগামী আদম শুমারিতেই এই ধারা থমকে যাবে। আমার চারপাশ, বর্তমান অবস্থা আর তথ্য বলছে আমরা ২ নং ছবির জাপানের মত লালরূপ নিম্নগতির ধারক হতে খুব বেশি সময় লাগবে না। বড় জোর ২০২৫ কি ২০২৬ সালেই এই চিত্র নিচের দিকে নামতে শুরু করবে। যেটা ভালো লক্ষণই বটে। Yearly % Change এর হিসেবে এবছর জনসংখ্যা গত বছর থেকে ০.০২ কমেছে । আর বিয়োগের ঘরে (-) যেতে অপেক্ষা মাত্র ৭-১০ বছর। এটা দেশের বিদ্যমান এনজিওগুলো আর সরকারের বড় অবদান বলা চলে। কিন্তু আমি বলবো এটা আমাদের পারিবারিক সুসম্পর্কের বিসর্জন।
ফেসবুকের সব দিয়েই আমার তথ্য সাজানো তাই আবারও ফেসবুকের দ্বারস্থ হচ্ছি। ফেসবুকে বাংলাদেশের কতোগুলো পেইজ আছে ? কতোগুলো ব্যাবসায়, বানিজ্য, খামার, কৃষি, ক্রয় বিক্রয়, উদ্যোক্তা হওয়া নিয়ে পেইজ আর গ্রুপ আছে একটু ঘাঁটাঘাঁটি করলেই দেখতে পারবেন। লোকে এখন বসে নেই, সৎ উপায়ে উপার্জনের পন্থার পিছনে ছুটে বেরাচ্ছে, সফলও হচ্ছে। না হবার তো উপায় নাই। ১৬ কোটি জীবন- তার খাবার, চিকিৎস্যা, ঘুরাফেরা, বিনোদন, কাপড় এসব চাইবেই আর তা পাবেই। এই চাওয়া আর পাওয়ার মধ্যেই মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে বিদ্যুত গতিতে, চায়না গতিতে।
তাই, জনসংখ্যা এখন সম্পদ।
কেউ দ্বিমত করলে সেটা গোঁড়ামি ছাড়া আর কিছুই না। আর এর পেছনে অবশ্যই অবদান বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের বা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের। তারা প্রযুক্তি আর যোগাযোগের উন্নয়নে যা করে যাচ্ছে তা সীমাহীন প্রশংসার দাবীদার। কৃতজ্ঞতা তাদের প্রতি। ১.গুগলের কল্যাণে যতগুলো দেশ দেখতে পেরেছি প্রতিটা উন্নত দেশই যোগাযোগে উন্নত। পথ-ঘাটের উন্নয়ন নেই মানে গুগলের স্ট্রিট ভিউ নেই মানে উন্নতিও নেই, আমিও দেখতে পারিনি। সাউথ আফ্রিকা, আমেরিকা রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সুইজারল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন, ওয়েলস, ব্রাজিল, ইতালি, স্কটল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর এগুলোর প্রতিটিই যে উন্নতির চরম শিখরে তা সবাই অবগত। কিন্তু এদেশগুলোর গ্রামের অভ্যন্তরে আর গহিন জঙ্গলেও যে রাস্তা করা আছে তা আমরা এখনও পাইনি আমাদের দেশের কোন একটি রাস্তাতে। তার পরেও এই সরকারের চেষ্টা নিশ্চয়ই আমাদের যোগাযোগ সংক্রান্ত সমস্যা চিরতরে মিটে যাবে। খুব শীঘ্রই ঢাকার কিছু এলাকা সিঙ্গাপুরের রূপ লাভ করতে যাচ্ছে। আর গোটা ঢাকা এবং চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের রূপে আবির্ভুত হতে সময় লাগবে ৩ বছরের মত। একটি পাতাও পড়ে থাকবেনা অবহেলায়(!), আর নোংরা কাগজ বা নংরা পরিবেশ সেটা শুধু স্বপ্নেই দেখা যাবে। ২.আইসিটি বা কম্পিউটার শিক্ষা নার্সারি থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার অন্তর্ভুক্ত করাতে সরকারের অবদন অপরিসীম। এরই চমৎকার ফল উপভোগ করে চলেছি আমরা। এগিয়ে যাচ্ছে দেশ ব্যাপক গতিতে। তবে গোটা শিক্ষা ব্যাবস্থাটা যদি এমনিভাবে আবালদের হাত থেকে রক্ষা করার চেষ্টা হত আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হত- এক্কেবারে ফকফকা, ফিলিপস বাতির মত।
সরকারের এই শক্ত নজর যদি নিরব বিপ্লবের আঁধার "কৃষিতে" থাকতো তাহলে কৃষি এগিয়ে যেত আরও কয়েক গুণ। নজর নেই বলছিনা। গাছ লাগানো ভালো কাজ;কিন্তু পরিচর্যা করে বেশি ফল পাওয়া আর এমনিতেই ফল পেয়ে যাওয়া এক নয়। সরকার হাতের মুঠি খুলেই রেখেছে বলে কৃষি তার নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু, সরকার যদি প্রসারিত হাতটা কৃষির দিকে এগিয়ে দেয় তাহলে বিশ্বের আরও অনেক অনেক দেশ আমাদের সবজি, পুষ্টি ও আমিষের উপর নির্ভরশীল হবে সেটাই বলছি। তবে কৃষি বিপ্লব হবেই, সেটা শুরু হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। তার প্রমাণ- বিটিভির "মাটি ও মানুষ" নামের কৃষি অনুষ্ঠানের মত প্রতিটি চ্যানেলেই এখন কৃষি অনুষ্ঠান হচ্ছে। তথ্যে ঠাসা অনুষ্ঠান। নতুন নতুন ফল, ফসল, সবজি, গবাদি পশুতে স্বয়ম্বরা হওয়া ইত্যাদি।
তো এখন কথা হল আমরা জাপানের মত জনসংখ্যায় বিয়োগের কাতারে কেন যাচ্ছি বা যাবো। আগে এক পাড়া থেকে আরেক পাড়াতে হেঁটে গেলে প্রতি কদমেই ২-৪ টা বাচ্চার কাঁদুনি কানে আসতে। পথে মাঠে ছেলে মেয়েরা খেলা ধুলায় মেতে থাকতো। এখন পুরা গ্রাম ঘুরলেও এই দৃশ্য সহজ প্রাপ্য নয়। ১৯৭১ এর পারিবারিক সম্প্রীতিই আমাদের হাতে তুলে দিয়েছিল একটা আস্ত দেশের স্বাধীন পতাকা। আর সেই ভিতের উপরে দাঁড়িয়েই জনসংখ্যা নামক বোঝা আজ সম্পদে রূপান্তরিত হয়ে আমরা উন্নতির শিখরে উঠতে যাচ্ছি।
এখন বাবা-মায়েদের বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে ভাবার সময় কই। এই ভাবনার অভাবেইতো সন্তানেরা উচ্ছন্নে যাচ্ছে হর হামেশা। জঙ্গিবাদ আর মাদকের থাবা নিঃশেষ করে দিচ্ছে সন্তানকে। এই জনসংখ্যার নিম্নহার আর উন্নতির উচ্চ হার এই ধারণা যে ভুল তার বড় প্রমাণ এই দেশের ১৬ কোটি মানুষ এখন সম্পদ। তবে সংশয়ে আছি সেই ২০২৫-২০৩০ তে এসে কি দাঁড়াবে আমাদের ভবিষ্যৎ। অনেক সম্পদ আর সুখের সন্ধানে সত্যিই কি হারিয়ে যাবে পারিবারিক সম্প্রীতি আর সুখের সত্য অস্তিত্ব !
যদিও ভাবতে চাচ্ছিনা তবুও ভাবতেই হচ্ছে, বাংলাদেশের জনসংখ্যা দিনে দিনে কমছে, মানে আমরা উন্নতির চরম শিখরে উঠতে উঠতেই আবার আমরা আমাদের সম্পদ হারিয়ে বা হ্রাস করে ফেলছি।
Comments
Post a Comment