আস্তাগফিরুল্লাহ এসব খাওয়া পাপ।

মদ খেয়ে বাসায় ঢোকার পর কার ও সাথে কথা বলার রিস্ক নিলাম না।সরাসরি রুমে ঢুকে একটা কড়া গোসল দিয়ে ভাত খেতে বসলাম।প্ল্যান ছিলো খাওয়া শেষ করেই রুমে ঢুকে দরজা লক করে দিবো।খাওয়ার সময় আব্বা কিছু একটা বলতে এসেছিলেন,কিন্তু আমি এমন একটা ভাব নিলাম যে তাকে দেখি নাই।পকেট থেকে ফোন বের করে কথা বলার অভিনয় শুরু করলাম। কয়তে থাকলাম,জ্বী বস..না বস..সব কাজতো গুছাই দিছি..ও সরি.. হুম হুম.. ও! খাওয়া শেষ করছি। আব্বা জিজ্ঞেস করলেন,অফিসে খুব কাজের প্রেশার? কইলাম হো খুব। আব্বা কইলো,তুমার অফিসে কি কেউ মদ্যপান করে? কইলাম,নাতো সবাই খুব ভালো।সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান। আব্বা বললেন,দেইখো আবার।মদ টদ খাওয়া শুরু কইরো না কিন্তু। এইসব ভালো না। কইলাম,জ্বী আব্বা। আব্বা আবার বললেন,মদ সিগারেট খাওয়ার অভ্যাস তো তুমার নাই।তাই না? কইলাম,নাহ।আস্তাগফিরুল্লাহ এসব খাওয়া পাপ। এরপর হঠাৎ করে স্যান্ডেল দিয়ে পিডান শুরু করলেন।সে এক ব্যাপক মাইর।আমিতো বুঝতেই পারলাম না যে আব্বা বুঝলো ক্যামনে? একটু পর পিডাইতে পিডাইতে উনি নিজেই উত্তর দিয়ে দিলেন।বললেন,তুই মদ-সিগারেট খাস না তাই না? তাইলে আমারে বুঝা যে এমন কোনো প্রযুক্তি আবিষ্কার হইছে যেটা দিয়া সিগারেটের প্যাকেট কানে লাগাইলে বসেরসাথে কথা কওয়া যায়? ©কালেক্টেড

Comments

Popular posts from this blog

পাহাড়ের টানে খাগড়াছড়ি-সাজেক || সাজেক ভ্রমণের বৃত্তান্ত

Condolence letter and reply for bangladeshi corporate office of muslim's death news ..........